বিদেশী অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিদেশী অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল এখন বাংলাদেশ। কোন নিয়মনীতি ছাড়াই যে কোন বিদেশী নাগরিকই বাসা ভাড়া নিয়ে রাজধানীতে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত হচ্ছে। জড়িয়ে পড়ছে খুন,ধর্ষণ, ভিওআইপি, জাল টাকা, মানবপাচার, মাদকসহ নানা ভয়ঙ্কর অপরাধে।আইন প্রয়োগকারীরা বলছেন, ইমিগ্রেশন থেকে তথ্য দেয়ার সঙ্গে বাড়িওয়ালারা বাসাভাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে থানায় তথ্য সরবরাহ করলে কমে আসবে অপরাধ প্রবণতা।গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের ১৫ টি দেশের প্রায় ১২ হাজারের বেশী বিদেশী নাগরিক বাংলাদেশে পর্যটক ভিসায় এসে আত্মগোপন করে আছে। ধারনা করা হয় এদের বেশীরভাগই অপরাধী। সাম্প্রতিক সময়ে ঘন ঘন বিদেশীদের বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় যেমন উদ্বিগ্ন প্রশাসন তেমন সাধারণ নাগরিকরাও।
রাজধানীর গুলশান, বনানী,বারিধারার মত অভিজাত এলাকায় অনেক বাড়ির সামনেই টু-লেটে লেখা রয়েছে শুধু মাত্র বিদেশীদের জন্য। আর এ সুযোগ নিতে ভুল হয় না সুযোগ সন্ধানী বিদেশী অপরাধীদের।
নামমাত্র কিছু অপরাধী আটক হলেও অধিকাংশই থেকে যাচ্ছে অধরা। ইমিগ্রেশন ও বাড়িওয়ালাদের সাথে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর তথ্য আদান প্রদানের ঘাটতির কারণেই অবাধে অপরাধ করে চলেছে তারা বলে মত বনানী থানার কর্মকর্তার।
বনানী থানার অপারেশন অফিসার আবু বকর মিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশের পুলিশরা বিদেশী নাগরিকদের প্রতি কিছুটা সহনশীল। আমাদেরকে যদি ইমিগ্রেশন থেকে বিদেশীদের সম্পর্কে তথ্য দেয়া হতো যে তারা এখানে আসছে; তাহলে আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে পারতাম। কিন্তু আমাদের এখনো তারা এইসব তথ্য দিচ্ছেনা।’
এই জাতীয় অপকর্ম ঠেকাতে ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারকে আরও সচেতন হবার পরামর্শ অন্যান্য বিদেশীদের।
নিজ দেশ ছেড়ে যারা ভিনদেশে বাস করেন প্রবাসী বলা হয় তাদের। আর বাংলাদেশ এমন প্রবাসীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে অবস্থানরত প্রবাসীরা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা যেমন ভাবিয়ে তুলেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ঠিক তেমনি ভাবিয়ে তুলেছে দেশের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিকেও।