যে কোনো সময় গ্রেপ্তার করা হবে লতিফ সিদ্দিকীকে
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ২২ মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে আত্মগোপনে থাকা লতিফ সিদ্দিকীকে যে কোনো সময় গ্রেপ্তার করা হবে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের একথা বলেছেন। সার্ক সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে নেপাল যাওয়ার আগের দিন সোমবার রাতে সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে ডেকে নিয়ে লতিফকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়ার পর তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার আদালতের আদেশ পালন করবে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের জন্যে কাজ করছে। যেকোনো সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।এদিকে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রিসভার সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারে আইনি জটিলতা রয়েছে বলে গতকাল সোমবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সচিবালয়ে
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন।উচ্চ আদালতের নির্দেশে তাকে গ্রেপ্তারে সরকারের কোন ব্যর্থতা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কোনো ব্যর্থতা নেই। হাইকোর্টের যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে তা যেমন সত্য, লতিফ সিদ্দিকী এখনো এমপি, তার এমপির পদ এখনো যায়নি এটিও তেমন সত্য। একজন এমপিকে গ্রেপ্তার করতে হলে স্পিকারের অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে। গ্রেপ্তারে আইনী জটিলতা আছে, আশা করি তা অচিরেই কেটে যাবে।’ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার দায়ে মন্ত্রিসভা ও আওয়ামী লীগের দলীয় সদস্য পদ থেকে বাদ পড়েন লতিফ সিদ্দিকী। একই অভিযোগে সারা দেশে তার বিরুদ্ধে ২২টি মামলা হয়। আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি রয়েছে।এদিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে অ্যাডভোকেট ইউনূস আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।হজ চলাকালীন গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের এক হোটেলে প্রবাসী টাঙ্গাইল সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি কিন্তু হজ আর তবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী। তবে তার চেয়েও হজ ও তবলিগ জামাতের বেশি বিরোধী।’এদিকে সাবেক এ মন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট। অন্যদিকে গ্রেপ্তার না হলে বুধবার থেকে সারা দেশে লাগাতার হরতাল, অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণার পরিকল্পনা করছে হেফাজতে ইসলাম।