সময়সীমা বাড়তে পারে ইরান পারমাণবিক চুক্তি আলোচনার
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ বিশ্বের ছয় ক্ষমতাধর দেশ ও ইরানের কূটনীতিকরা নির্ধারিত সময়সীমা গ্রিনিচ মান ২৩টার আগে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে শেষবারের মতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
কূটনীতিকরা জানান, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে এর আগে যে মতপার্থক্য ছিল তা এখনও রয়েছে। ফলে ভিয়েনা বৈঠকে চুক্তি নিয়ে আলোচনার সময়সীমা বাড়ানোর ব্যাপারে ঐকমত্য হতে পারে।
জাতিসংঘের স্থায়ী পরিষদের পাঁচ সদস্য যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানী চায়, জাতিসংঘ আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জবাবে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি কাঁটছাট করুক
।
পশ্চিমাদের অভিযোগ, ইরান পারমাণবিক কর্মসূচির আড়ালে আণবিক বোমা তৈরি করছে। তবে ইরান এ অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে। তেহরানের দাবি, তারা বেসামরিক কাজে পারমাণবিক কর্মসূচি চালাচ্ছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড বলেন, ‘এই মুহুর্তে আমরা একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়ার শেষ চেষ্টা চালাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘অবশ্য চুক্তিতে উপনীত হতে না পারলে, তখন আমরা কোন দিকে যাব তা নিয়ে আলোচনা হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, নির্ধারিত সময়সীমা পার হয়ে গেলে আলোচনার সময়সীমা বাড়ানোসহ বিভিন্ন বিকল্প নিয়ে আলোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক।
প্রতিনিধিরা চুক্তির একটি রুপরেখা প্রণয়ন করতে পারেন যা পরবর্তীতে চূড়ান্ত করা হতে পারে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, পশ্চিমারা যদি অতিরিক্ত কিছু দাবি না করে তাহলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চুক্তি হবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং জি ভিয়েনা এসে পৌঁছেছেন। এর অর্থ হল, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা শেষ বৈঠকে হাজির থাকছেন।
ভিয়েনার প্যালায়িস কোবার্গ হোটেলে ছয়জাতি ও ইরানের মধ্যে এ বৈঠক হচ্ছে। এখানে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর বিষয়ে তিনি তার দেশের একটি প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন।
অজ্ঞাত পরিচয় ইরানের এক সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপি’কে জানায়, রোববার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি ও ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বৈঠক করেছেন। এ সময় তারা আলোচনার সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়েও প্রাথমিক কথাবার্তা সেরেছেন। এএফপি