বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Sunday, December 22, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » খালেদা জিয়ার করা লিভ টু আপিল খারিজ

খালেদা জিয়ার করা লিভ টু আপিল খারিজ 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ   জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ রবিবার তৃতীয় আবেদনটিও খারিজ করে দেন।

এ আদেশের ফলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি চলতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।এর আগে গত ২৫ নভেম্বর এ আদালতই জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলা নিয়ে খালেদার করা দুটি আপিল আবেদন খারিজ করে।গত সপ্তাহে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় খালেদার আবেদনের শুনানি করে আদেশের জন্য ৩০ নভেম্বর দিন রেখেছিল আদালত।আদালতে খালেদার পক্ষে খন্দকার মাহবুব হোসেন, দুদকের পক্ষে মো. খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানিতে অংশ নেন

khaleda

জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ আমলে নেওয়ার আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে করা খালেদার আবেদন ২০১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর খারিজ হয়ে যায়।  আর জিয়া এতিমখানা ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তার দুটি আবেদন হাই কোর্ট খারিজ করে গত ২৩ এপ্রিল।হাই কোর্টের ওই তিন আদেশের  বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন নিয়েই সর্বোচ্চ আদালতে এসেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।দুদকের দায়ের করা জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সোয়া পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। এ দুটি মামলা বর্তমানে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ বাসুদেব রায়ের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।এ দুই মামলায় অভিযোগ গঠনকারী বিচারকের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেও সর্বোচ্চ আদালতে এসেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন, তবে তার আবেদন নাকচ হয়ে যায়।জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে।এতিমদের সহায়তার জন্য একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হদুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ ২০১০ সালের ৫ অগাস্ট বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।মামলার অপর আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।তারেক রহমান উচ্চ আদালতের জামিনে গত ছয় বছর ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন। সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আছেন জামিনে। বাকি দুজন ২০১১ সালের ৮ অগাস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুরতেজগাঁও থানার এ মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত  কর্মকর্তা।

 

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone