ঢিমে তালে চলছে চট্টগ্রামে নতুন গ্যাস সংযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সংযোগ প্রদানের উপকরণসহ নানা সংকটে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আবাসিক খাতে গ্যাসের সংযোগ প্রদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত মালামাল না থাকায় সংযোগের কাজ চলছে ঢিমে তালে।ঠিকাদার ও কেজিডিসিএল’এর কর্মকর্তারা, একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান দেশজুড়ে পাঁচটি গ্যাস বিপণন সংস্থায় নিদিষ্ট কিছু উপকরণ সরবরাহের দায়িত্বে নিযুক্ত থাকায় সংকট তীব্র হয়েছে।সাড়ে ৩ বছর বন্ধ থাকার পর ২০১৩’র জুলাই থেকে চট্টগ্রামে আবার আবাসিক খাতে গ্যাসের সংযোগ দেয়া শুরু করে কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কর্তৃপক্ষ। গত ১৬ মাসে ১৮ হাজার গ্রাহককে নতুন সংযোগ দিলেও এখনো অপেক্ষায় আছে আরো ২০ হাজার।এর মধ্যে দু’দফায় বন্ধ ছিল সংযোগের কাজ। ঠিকাদাররা জানান, বর্তমানে ৬টি রাইজার দল মাঠে থাকলেও উপকরণ সংকটে কাজ চলছে ধীরগতিতে। কিছু উপকরণ শুধুমাত্র একটি প্রতিষ্ঠান সরবরাহের দায়িত্বে থাকায় এই সংকট কাটছেনা বলে অভিযোগ তাদের।কর্ণফুলী গ্যাস ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির প্রধান উপদেষ্টা শাজাহান সুফি বলেন, ‘বর্তমানে ৬টি রাইজার টিম অব্যাহত আছে কিন্তু একসঙ্গে কাজ করতে পারছে না শুধুমাত্র মালামাল সঙ্কটের কারণে’।ফেয়ার গ্যাস কমিউনিকেটরের প্রোপাইটর মোস্তফা কামাল বলেন, ‘দেশের বাইরে থেকে কর্তৃপক্ষ যদি কাঁচামাল আনার ব্যবস্থা না করে তবে এই সমস্যার সমাধান হবে কিনা সেটি আমাদের সন্দেহ আছে’।
নিয়ম অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে সংযোগ দেয়ার কথা থাকলেও এক বছরেও তা পাচ্ছেননা গ্রাহকরা। এ অবস্থায় গ্রাহকদের সাথে তিক্ততার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান ঠিকাদাররা।
কর্নফুলী গ্যাস ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক একে এম অলিউল্লাহ হক বলেন, ‘সিরিয়ালের গ্রাহকরা আনেক ক্ষেত্রে এক বছর অপেক্ষা করেও লাইন পাচ্ছেননা, এক্ষেত্রে গাহকরা ক্ষোভ প্রকাশ করছে’।
কেজিডিসিএল মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী খন্দকার মতিউর রহমান বলেন , উপকরণ সরবরাহে এক প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করতে হয়, তাই এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে’। তাদের মালামাল সরবরাহে চাপ দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বর্তমানে কেজিডিএসএল’ এর আবাসিক গ্রাহকের সংখ্যা এক লাখ ৬৫ হাজার। আর প্রতি মাসে নতুন সংযোগের জন্য আবেদন পড়ছে গড়ে ৪ হাজার।