মালয়েশিয়া গমনের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মালয়েশিয়া গমনের উদ্দেশে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যান প্রধানমন্ত্রী।মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টায় তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অগ্রসরমান দেশ মালেশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য, বন্ধুত্ব আর শ্রম সম্পর্কের নতুন দিক উন্মোচিত হবে এই সফরে, এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট মহলের।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জমান নূর, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়াও ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা
।
মালয়েশিয়া সফরে প্রধানমন্ত্রী দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। পুত্রজায়ায় দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার আলোচনা ছাড়াও থাকবে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক, চুক্তি-স্বাক্ষর। অংশ নেবেন বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের সুযোগ সম্পর্কিত সংলাপে। সফরকালে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। সেখানে তাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত থাকবেন মালয়েশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহজইনুদ্দিন, মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-মন্ত্রী হাজি ইসমাইল হাজি আবদুল মুত্তালিব ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাই কমিশনার একেএম আতিকুর রহমান।
বিমানবন্দরে গার্ড অব অনার শেষে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রায় নিয়ে যাওয়া হবে কুয়ালালামপুরের হোটেল গ্র্যান্ড হায়াতে। সফরের সময়ে এখানেই অবস্থান করবেন তিনি। রাতেই কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময় করবেন। জানবেন সেখানকার বাংলাদেশি শ্রমিক, পেশাজীবীদের কথা।
এছাড়া মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এতে অংশ নিয়ে মতবিনিময় করবেন। সমাপনী বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশের হাই কমিশনার আতিকুর রহমান।
সংলাপ পরবর্তী মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেওয়ার পর দুপুর আড়াইটার দিকে পুত্রজায়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা তিনটা নাগাদ সেখানে পারদানা স্কয়ারে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছার কথা রয়েছে তার। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন সরকারি অনুষ্ঠানাদি আয়োজনের প্রধান ওসমান মাহমুদ। স্যালুটিং ডায়াসে শুভেচ্ছা বিনিময় হবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ নাজিবতুন আবদুল রাজাকের সঙ্গে।
এরপরপরই রাষ্ট্রীয় অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান। এতে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার পর দুই নেতা গার্ড অব অনার পরিদর্শন করবেন। দুই দেশের অভ্যর্থনা সারিতে দাঁড়ানো প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরিচয়, কূটনীতিক কোরের সঙ্গে পরিচয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই অনুষ্ঠান। এর পরপরই ছবি তোলার জন্য দাঁড়াবেন দুই নেতা। আর সবশেষে ভিজিটরস বুকে স্বাক্ষর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দুই প্রধানমন্ত্রীর রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে। বৈঠক শেষে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে তারা যাবেন পারদানা মিটিং রুমে। সেখানে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
এরপরই কুয়ালালামপুরে আবাসিক হোটেলে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্রাম শেষে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ফের পুত্রজায়ার উদ্দেশে যাত্রা। রাত ৮টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন সেরি পারদানায় নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি। প্রোটোকল রুমে এই আনুষ্ঠানিক নৈশভোজের পর রাত সাড়ে ৯টায় ফের আবাসস্থল হোটেলে গ্র্যান্ড হায়াতে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন মালয়েশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহজইনুদ্দিন, মানবসম্পদ বিষয়ক উপমন্ত্রী হাজি ইসমাইল হাজি আবদুল মুত্তালিব ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাই কমিশনার একেএম আতিকুর রহমান।
বাংলাদেশ সময় বেলা ২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।