মুজাহিদের আপিল শুনানি ১৪ জানুয়ারি
বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনের নতেৃত্বে পাঁচ বিচারপতি আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় প্রথমেই ছিল এই জামায়াত নেতার মামলা।আদালতে আসামি পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডবোকেট জয়নাল আবেদীন ও শিশির মুহম্মদ মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম।শুনানিতে অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন আপিল শুনানির জন্য আগামী ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণের আর্জি জানান। অ্যাটর্নি জেনারেল এর বিরোধীতা করে চলতি ডিসেম্বরেই তারিখ চান।আদালত উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে ১৪ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেন।গত ১৭ জুলাই আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল-২ এর দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের আদেশের বিরুদ্ধে ১১ অগাস্ট এই আপিল দায়ের করেছিলেন মুজাহিদচার দশক আগে বাঙালির স্বাধীনতার পথ রুদ্ধ করতে সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বুদ্ধিজীবী হত্যা এবং সাম্প্রদায়িক হত্যা-নির্যাতনের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল।অপহরণ, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি ঘটনায় মুজাহিদের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেওয়া হয় ট্রাইব্যুনালের রায়ে।
ট্রাইব্যুনাল-২ এর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান রায়ে বলেন, এ আসামির মৃত্যুদণ্ড দেওয়া না হলে ন্যায়বিচার হবে না।
মুজাহিদ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা করতে গঠিত আলবদর বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন এবং ওই বাহিনীর ওপর তার ‘কার্যকর নিয়ন্ত্রণ’ ছিল বলেও উঠে আসে ওই রায়ে।মুজাহিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি ট্রাইব্যুনালে প্রমাণিত হয়।প্রথম অভিযোগে সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনকে অপরণের পর হত্যা এবং ষষ্ঠ অভিযোগে বুদ্ধিজীবীসহ গণহত্যার ষড়যন্ত্র ও ইন্ধনের অভিযোগে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয় এই জামায়াত নেতাকে। একই রায় হয় সপ্তম অভিযোগে, ফরিদপুরের বকচর গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর বর্বর হামলা চালিয়ে হত্যা-নির্যাতনের ঘটনায়।এছাড়া পঞ্চম অভিযোগে সুরকার আলতাফ মাহমুদ, গেরিলা যোদ্ধা জহিরউদ্দিন জালাল ওরফে বিচ্ছু জালাল, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ছেলে শাফি ইমাম রুমি, বদিউজ্জামান, আবদুল হালিম চৌধুরী জুয়েল ও মাগফার আহমেদ চৌধুরী আজাদসহ কয়েকজনকে ঢাকার নাখালপাড়ায় পুরনো এমপি হোস্টেলে আটকে রেখে নির্যাতন এবং জালাল ছাড়া বাকিদের হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার জন্য মুজাহিদকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।