বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Monday, December 23, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » আর্ন্তজাতিক » আইএস-বিরোধী জোটের বৈঠক

আইএস-বিরোধী জোটের বৈঠক 

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ     ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গি গ্রুপ নির্মূলের চেষ্টায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বুধবার ৬০-সদস্যবিশিষ্ট জোটের উচ্চ পর্যায়ের প্রথম বৈঠক হয়।
আইএসের বিরুদ্ধে যথাযথ সামরিক কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে কেরি ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-এবাদি এবং ইউরোপীয় দেশ, আরব ও অন্যান্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে ব্রাসেলসে ন্যাটো সদর দপ্তরে বৈঠক করেন।
কর্মকর্তারা আরো জানান, তারা বিদেশী যোদ্ধা নিয়োগ বন্ধ এবং শক্তিশালী আইএসকে কিভাবে নির্মূল করা যায় সেই বিষয়টিও দেখছেন। কেননা, আইএস বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ থেকে জিহাদি নিয়োগ করছে
keri
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র গত আগস্টে ইরাকে আইএস-এর বিরুদ্ধে প্রথম বিমান অভিযান চালায়। গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে সিরিয়াতেও আইএস-বিরোধী অভিযান শুরু করে। এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলো অংশ নেয়।
সিরিয়ায় বিমান হামলায় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্দান ও বাহরাইন অংশ নিচ্ছে। এদিকে ইরাক অভিযানে অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, ব্রিটেন, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ড অংশ নিচ্ছে।
ইরাকের পূর্বাঞ্চলে সম্প্রতি আইএস-বিরোধী বিমান অভিযানে ইরানও অংশ নিয়েছে, পেন্টাগন এমন খবর এই প্রথমবারের মতো মঙ্গলবার নিশ্চিত করে।
আইএস হুমকি জিহাদিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে চিরশত্রু এই দুই দেশকে একত্রিত করলেও ওয়াশিংটন জানায় ইরান অভিযান যুক্তরাষ্ট্র বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে চালানো হচ্ছে না। তারা পৃথকভাবে বিমান অভিযান পরিচালনা করছে।
গত জুনে সিরিয়া ও ইরাকে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দেয়া জিহাদিদের বিরুদ্ধে অধিকাংশ বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
এক্ষেত্রে বিশ্বের অনেক রাষ্ট্র আইএস জঙ্গি নির্মূলে গোয়েন্দা তথ্যসহ অন্যান্য সহযোগিতার প্রস্তাব দিচ্ছে।
কেরি মঙ্গলবার ইরাক সরকারকে আরো সহযোগিতা প্রদানের বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দেননি। তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, যুক্তরাষ্ট্র একভাবে বা অন্যভাবে আরো সাহায্য দেবে।’
কর্মকর্তারা জানান, ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস-এর অর্থের জোগান কিভাবে বন্ধ করা যায় এবং গৃহহীন লোকজনকে কিভাবে মানবিক সাহায্য করা যায়, বৈঠকে সেটি নিয়ে আলোচনা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, জোটের অংশীদার দেশগুলো আইএস গ্রুপে যোগ দেয়া বিদেশী যোদ্ধাদের হুমকির ব্যাপারে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। কেননা, এই যোদ্ধারা পশ্চিমা দেশগুলোতে হামলা চালাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone