বিসিবির ওপর খেপেছেন বাদল
মাঠ, আম্পায়ারসহ নান অভিযোগ-সংবলিত একটি চিঠি গত ২৯ নভেম্বর তিনি পাঠিয়েছেন বোর্ড সভাপতিকে। কাল প্রাইম ব্যাংকের কাছে হারের পর আবার ফুঁসে উঠলেন তিনি। বোর্ডের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ক্লাবের কর্ণধার হুমকি দিলেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ারতার আর তার দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে সবই জড়িত এমন দাবি করে বাদল বলেন, ‘বোর্ড প্রেসিডেন্ট যতই বড় বড় কথা বলুন, উনি নিজে এই ম্যানিপুলেশনের সঙ্গে জড়িত।
ওনার যে একটা কর্মচারী আছে, মল্লিক (বিসিবি পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক), তাকে দিয়ে সব করানো হয়। সেই নিজে সব হ্যান্ডেল করে, ফিকশ্চার থেকে শুরু করে মাঠ, আম্পায়ার, বোর্ডের সবকিছু সে করে। আর এখানে একজন আছে, সুজন (খালেদ মাহমুদ), আমি মনে করি বাংলাদেশ ক্রিকেটের কলঙ্ক সে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সব পদে সে আছে—বোর্ড পরিচালক, ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান, এক দলের কোচ, আরেক দলের ম্যানেজার…শুধু রুস্তমের (বিসিবির অফিস সহকারী) পদেই সে নাই। তো এদের কাছ থেকে কী আর আশা করা যায়!’বিসিবি-প্রধান কাল সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। এ কথা স্মরণ করিয়ে দিলে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন বাদল, ‘ বোর্ড প্রেসিডেন্ট কালকে বললেন, ‘আমি কিছু জানি না। পুরো ভুল কথা। তিনি সব জানেন। তাঁর কথা ছাড়া, তাঁর অফিসের মল্লিকের ইশারা ছাড়া একটা আম্পায়ার কোথাও মুভ করতে পারে না। আপনারা জানেন, সেদিন আমাদের ম্যাচে আম্পায়ার ছিল গাজী সোহেল। আবাহনী ওই ম্যাচে হেরেছে, এখন আর তাকে আম্পায়ারিং দেবে না। তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাহলে বুঝুন! আমি তো রেফারেন্স ছাড়া কোনো কথা বলছি না! আপনারা দেখেন, আজকে লিগের টপ দুই দলের খেলা, অথচ কোন দুজন আম্পায়ার দেওয়া হয়েছে? আমাদের আন্তর্জাতিক আম্পায়ার আছেন, তাঁদের না হোক অন্তত ‘এ’ গ্রেড আম্পায়ার আছেন। এমন একটা ম্যাচে তাঁদের কাউকে দেওয়া হলো না দায়িত্ব!এভাবে চললে দেশের ক্রিকেটের উন্নতি কীভাবে হবে? বোর্ড প্রেসিডেন্ট নিজে বেক্সিমকোর চাকুরে। আরেকজন আছে মল্লিক, সে তো আরও নিচের পোস্টে চাকরি করে। সিম্পলি চাকর সে! চাকর-বাকরদের দিয়ে ক্রিকেট চালালে দেশের ক্রিকেটের উন্নতি হবে কীভাবে?’ ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাদল।