সাশ্রয়ী মূল্যে কাগজ উৎপাদনে বাংলাদেশকে সহায়তার প্রস্তাব চীনের
অর্থনৈতিক প্রতিবেদকঃ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে কাগজ উৎপাদনে চীন বাংলাদেশকে সহায়তার প্রস্তাব করেছে ।মঙ্গলবার মতিঝিলে শিল্পমন্ত্রনালয়ে চায়না লাইট ইন্ডাস্ট্রিয়াল কর্পোরেশন ফর ফরেন ইকোনোমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশনের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সঙ্গে বৈঠককালে এ প্রস্তাব করেন।এর পাশাপাশি এ সংস্থা বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে সব ধরণের সহযোগিতা করতে আগ্রহী।বৈঠকে
চীনা প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বলেন, চায়না লাইট ইন্ডাস্ট্রিয়াল কর্পোরেশন হালকা প্রকৌশল শিল্পের উন্নয়নে বিশ্বখ্যাত একটি সংস্থা। এটি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চিনি, কাগজ, চামড়া, দুধ, বেভারেজসহ বিভিন্ন হালকা প্রকৌশল পণ্য উৎপাদনে আর্থিক, কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের চিনি ও কাগজ শিল্পের উন্নয়নেও এ সংস্থা সব ধরণের সহায়তা করতে আগ্রহী।শিল্পমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলো লাভজনক করতে সরকার অমৌসুমে চিনি উৎপাদনের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। একই সঙ্গে মাড়াই মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমাণে আখ পেতে উচ্চ ফলনশীল জাতের আখ চাষের প্রতি সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে।চীনা প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের চিনিকলে অমৌসুমে চিনি উৎপাদন, পণ্য বৈচিত্রকরণ, উন্নত জাতের আখ চাষসহ অন্যান্য বিষয়ে সহায়তা করতে পারে। তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলো পরিদর্শন করে এগুলোর উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বাস্তবসম্মত প্রস্তাব পেশের জন্য প্রতিনিধিদলকে পরামর্শ দেন।আমির হোসেন আমু বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলস্, খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলস্ ও খুলনা হার্ডবোর্ড মিলস্ লাভজনকভাবে পরিচালনা করতে সরকার আগ্রহী। এ জন্য জ্বালানি, দক্ষ ও মূল্য সাশ্রয়ী প্রযুুক্তির পাশাপাশি কাঁচামালের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বিকল্প উৎস থেকে কাঁচামালউৎপাদন এবং লাগসই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কারখানাগুলো লাভজনকভাবে পরিচালনার প্রস্তাব পাওয়া গেলে সরকার তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে তিনি জানানবৈঠকে শিল্পসচিব মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, বিএসএফআইসির চেয়ারম্যান মাহমুদউল হক ভূইয়া, বিসিআইসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল, প্রতিনিধিদলের সদস্য ওয়েন সিয়ানজিয়ান, জেন ইনিং, লিয়াং কি, চেন হুই, লি ডি উপস্থিত ছিলেন।