সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সকল ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ১২ মে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তবে ওই নিষেধাজ্ঞা কোথায় প্রযোজ্য হবে না—তা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর প্রকাশনা, প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলনসহ সব ধরনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মী ও সদস্যদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
তবে সরকার স্পষ্ট করেছে, এই নিষেধাজ্ঞা অন্য কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করে না। আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড বা দলটির বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে যৌক্তিক, গঠনমূলক ও আইনসিদ্ধ মতামত প্রদানও এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় নয়।
সরকার জানিয়েছে, গত প্রায় ১৫ বছর, বিশেষ করে গত বছরের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে গুম, খুন, নির্যাতন, সন্ত্রাস ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও ফৌজদারি আদালতে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, বিচার কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা তৈরির উদ্দেশ্যে ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে সম্প্রতি আওয়ামী লীগ ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, উসকানিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। এতে মামলা সংশ্লিষ্ট সাক্ষী ও বাদীরা আতঙ্কিত এবং বিচারপ্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে জাতীয় নিরাপত্তা ও বিচারপ্রক্রিয়া সুরক্ষার স্বার্থে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে সরকার।
প্রকাশক ও সম্পাদক: কবির হোসেন
অফিসঃ ১৮০-১৮১ (৮ম তলা), শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্বরণী, বিজয়নগর, ঢাকা – ১০০০
ফোনঃ ০২-২২২২২৮৭৮০, ফ্যাক্সঃ ০২-২২২২২৮৫১৫, মোবাইলঃ ০১৭৪৬-৬৪১২৮১, ০১৮৩৩-৯৩৮৫৭৯
Email : aideshaisomoy1977@gmail.com
২০০৫-২০২৫ © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | একটি গ্লোবাল পাবলিকেশন এন্ড মিডিয়া লিমিটেড প্রতিষ্ঠান