দেশে ফিরে আসার নির্দেশ অমান্য করায় মরক্কোর সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিনি অন্তর্বর্তী সরকার সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
দেশে ফিরতে অস্বীকার, রাষ্ট্রদূত হারুনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ
দেশে ফিরে আসার নির্দেশ অমান্য করায় মরক্কোর সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিনি অন্তর্বর্তী সরকার সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৪ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানায়, মোহাম্মদ হারুন আল রশিদের কার্যকলাপের জন্য তার বিরুদ্ধে যথাযথ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রশিদকে দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছিল এবং কোনো বিলম্ব ছাড়াই মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘তবে, তিনি বিভিন্ন অজুহাতে বাংলাদেশে ফিরে আসতে দেরি করেন এবং অবশেষে ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে তার দায়িত্ব ত্যাগ করেন।’
জানা গেছে, তিনি মরক্কোর রাবাত থেকে কানাডার অটোয়ায় চলে গেছেন। ৬ মার্চ ২০২৫ তারিখে, তার অটোয়া থেকে ঢাকায় ভ্রমণ করে ফিরে আসার কথা ছিল, কিন্তু তিনি তা করেননি।
এদিকে, মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে, তিনি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছেন এবং অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশকে অরাজকতার দিকে ধাবিত হিসেবে বর্ণনা করেছেন বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আজ তিনি তার ফেসবুক প্রোফাইলে 'বাংলাদেশ এবং আমার জন্য এক আবেদন- বিষয়: ইউনূসের অধীনে বাংলাদেশের অরাজকতার দিকে ধাবিত হওয়া - বিশ্বের নীরবতা যন্ত্রণাদায়ক’ শিরোনামে একটি লেখা পোস্ট করেছেন। এতে তিনি অত্যাচারী ফ্যাসিবাদী শাসনকে মহিমান্বিত করার পাশাপাশি ৫ আগস্ট ২০২৪-এর পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে অরাজকতা হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘তার লেখায়, মি. হারুন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন প্রচেষ্টা ও উদ্যোগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছেন।’
‘এই ধরনের সুরে এবং বিষয়বস্তুতে কিছু লেখা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এটি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে আজকের বাংলাদেশের প্রকৃত পরিস্থিতি এবং বাস্তবতাকে সম্পূর্ণ বিকৃত করে।’
মন্ত্রণালয় মনে করে, ‘মি. হারুনের কিছু গোপন উদ্দেশ্য বা লুকানো অভিপ্রায় থাকতে পারে।’
বাংলাদেশে মন্ত্রণালয়ে ফিরে আসার পরিবর্তে, তিনি কানাডায় চলে গেছেন এবং সেখান থেকে ফেসবুকে লেখালেখি শুরু করেছেন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনি নিজেকে ‘নির্যাতিত কূটনীতিক', ‘নির্বাসিত ঔপন্যাসিক’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা বোঝাই যাচ্ছে যে বিদেশে তার প্রতি সহানুভূতি আকর্ষণ করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা তাদের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর এ ধরনের কোনও প্রচেষ্টা মেনে নেবে না এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: কবির হোসেন
অফিসঃ ১৮০-১৮১ (৮ম তলা), শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্বরণী, বিজয়নগর, ঢাকা – ১০০০
ফোনঃ ০২-২২২২২৮৭৮০, ফ্যাক্সঃ ০২-২২২২২৮৫১৫, মোবাইলঃ ০১৭৪৬-৬৪১২৮১, ০১৮৩৩-৯৩৮৫৭৯
Email : aideshaisomoy1977@gmail.com
২০০৫-২০২৫ © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | একটি গ্লোবাল পাবলিকেশন এন্ড মিডিয়া লিমিটেড প্রতিষ্ঠান