সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত আটক হয়েছেন। মঙ্গলবার তাকে গুলশান থেকে আটক করা হয় বলে ডিএমপির একটি বিশেষ সূত্রে জানা গেছে।
সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মো. তাহিদুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্য ৪৭ জনের সঙ্গে মোহাম্মদ আলী আরাফাতও আসামি। এছাড়াও একইরকম আরও কয়েকটি মামলাতেও অন্যান্যদের সঙ্গে তাকে আসামি করা হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। অনেকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই নৌকার প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন তিনি। পরে তিনি শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
আরাফাত দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের একজন থিংক ট্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন। তিনি জুলাই ২০২৩ সালে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে হিরো আলমকে হারিয়ে ২৮ হাজার ৮১৬ ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত একজন শিক্ষাবিদ। তিনি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্ট্র্যাটেজিক ম্যানেজমেন্ট ও নীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান।
তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও চ্যালেঞ্জ, ট্রানজিট এবং কানেক্টিভিটি, বিদ্যুৎ খাতের জন্য উপযুক্ত নীতি, যুদ্ধাপরাধের বিচার, বাংলাদেশে রাজনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্র ইত্যাদির মতো বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে অনেক নিবন্ধ লিখেছেন।
গত কয়েক বছর ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছিলেন মোহাম্মদ আলী আরাফাত। শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভায় তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিষয়ে ব্রিফও করেছিলেন তিনি। সবশেষ হাসিনা সরকারের পতনের আগের দিন ৪ আগষ্ট সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন মোহাম্মদ এ আরাফাত।
প্রকাশক ও সম্পাদক: কবির হোসেন
অফিসঃ ১৮০-১৮১ (৮ম তলা), শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্বরণী, বিজয়নগর, ঢাকা – ১০০০
ফোনঃ ০২-২২২২২৮৭৮০, ফ্যাক্সঃ ০২-২২২২২৮৫১৫, মোবাইলঃ ০১৭৪৬-৬৪১২৮১, ০১৮৩৩-৯৩৮৫৭৯
Email : aideshaisomoy1977@gmail.com
২০০৫-২০২৫ © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | একটি গ্লোবাল পাবলিকেশন এন্ড মিডিয়া লিমিটেড প্রতিষ্ঠান