আজ ২৫ মে, আইলা দিবস। ২০০৯ সালের এ দিনে সাতক্ষীরা, খুলনার উপকূলে আঘাত হানে আইলা। এ আঘাতে লন্ডভন্ড হয় সাতক্ষীরার উপকূলের গাবুরা, পদ্মপুকুর, দক্ষিণ ও উত্তর বেদকাশী সহ অনেকগুলো ইউনিয়ন। খুলনার কয়রা, বেতকাশি, গড়ইখালীসহ অনেক এলাকা মারাত্বক ক্ষতির মধ্য পড়ে।
আইলার ১৫ তম বছরে পা রেখ সেই একই দিনে আরেকটা দূর্ণিঝড়ের আতঙ্কের মধ্য সময় পার করছে উপকূলের মানুষ। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে আজ মধ্যরাতে সুন্দরবন উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে নূতন ঘূর্ণিঝড় রেমাল।
উপকূলে ত্রাণসহায়তা হিসেবে অনেক অর্থ এসছে এ সময়ের মধ্যে। সরকার ও দাতারা মিলে অনেক অর্থ ঢেলেছে উপকূলের উন্নয়ণে। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে (!) উপকূলের মানুষ ও তাদের সম্পদ রয়েছে এখনও অরক্ষিত।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল
ঘূর্ণিঝড় রেমাল শক্তি বাড়িয়ে ইতিমধ্যেই গভীর নিম্নচাপ থেকে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল (Cyclone Remal Update)। আবহাওয়া দফতরের (IMD) তরফে সতর্কতা জারি করে বলা হয়েছে, রেমালের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ১৩০ কিলোমিটার। এর ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলসহ ভারতের দিঘা সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন উপকূলবর্তী এলাকায় সমুদ্রের বাঁধ ভাঙার আশঙ্কাও রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বাংলাদেল ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল এলাকায়।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আজ রবিবার ২৬ মে মাঝরাতে সাগর আইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশের খেপুপাড়া ও সাগর দ্বীপের মাঝে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে দুর্যোগের আশঙ্কা সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতেও। এর মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ক্ষতির আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় এবং প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে সেখানে। জলোচ্ছ্বাসের ফলে সমুদ্রের জল উপচে পড়ে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়ার সময় এর সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায়।
ঘূর্ণিঝড় আইলা
ঘূর্ণিঝড় আইলা হলো ২০০৯ সালে উত্তর ভারত মহাসাগরে জন্ম নেয়া দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড়টি জন্ম নেয় ২১ মে তারিখে, ভারতের কলকাতা থেকে ৯৫০ কিলোমিটার (৫৯০ মাইল) দক্ষিণে। ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে ২৫ মে তারিখে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশ ও ভারতের দক্ষিণ-পূর্বাংশে।
ঘূর্ণিঝড় আইলা বাংলাদেশের পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালীর হাতিয়া, নিঝুম দ্বীপ, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। ঘূর্ণিঝড়ে খুলনা ও সাতক্ষীরায় ৭১১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্থ হয়। ফলে খুলনার দাকোপ ও কয়রা এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন লোনা পানিতে তলিয়ে যায়। ৭৬ কিলোমিটার বাঁধ পুরোপুরি এবং ৩৬২ কিলোমিটার বাঁধ আংশিকভাবে ধ্বসে পড়ে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: কবির হোসেন
অফিসঃ ১৮০-১৮১ (৮ম তলা), শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্বরণী, বিজয়নগর, ঢাকা – ১০০০
ফোনঃ ০২-২২২২২৮৭৮০, ফ্যাক্সঃ ০২-২২২২২৮৫১৫, মোবাইলঃ ০১৭৪৬-৬৪১২৮১, ০১৮৩৩-৯৩৮৫৭৯
Email : aideshaisomoy1977@gmail.com
২০০৫-২০২৫ © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | একটি গ্লোবাল পাবলিকেশন এন্ড মিডিয়া লিমিটেড প্রতিষ্ঠান