ঢাকা ০১:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনেই নিহত ৮৯, মৃত্যু ছাড়াল ৫৯ হাজার

এই দেশ এই সময় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১১:৩৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫ ২৯ বার পঠিত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ যেন থামছেই না। প্রতিদিনই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা, আর গভীর হচ্ছে মানবিক সংকট। শুক্রবার আবারও ভয়াবহ হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮৯ জন ফিলিস্তিনি, যা এই যুদ্ধের ভয়াবহতা ও অব্যাহত ধ্বংসযজ্ঞকে সামনে নিয়ে এসেছে।

গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা নিয়ন্ত্রিত হামাস ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে একটি অতর্কিত হামলা চালায়। ওই হামলায় ১,২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকেই প্রতিশোধ নিতে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

শুক্রবার ( ২৫ জুলাই) দিনভর গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর লাগাতার হামলায় অন্তত ৮৯ জন নিহত এবং ৪৬৭ জন আহত হয়েছেন। সন্ধ্যার পর গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এই নতুন হতাহতের সংখ্যা যুক্ত হওয়ার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় মোট প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজার ৬৭৬ জনে, এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯৬৫ জন ফিলিস্তিনি।

গত ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফার সামরিক অভিযানে গত আড়াই মাসে আরও ৮ হাজার ৫২৭ জন নিহত এবং প্রায় ৩১ হাজার ৯৩৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। ইসরায়েলের দাবি, এই অভিযান মূলত জিম্মি উদ্ধার ও হামাসকে সামরিকভাবে নিঃশেষ করার লক্ষ্যেই চালানো হচ্ছে। বর্তমানে ধারণা করা হচ্ছে, হামাসের হাতে আটক থাকা ২৫১ জন জিম্মির মধ্যে অন্তত ৩৫ জন এখনও জীবিত আছেন।

আন্তর্জাতিক চাপে ইসরায়েল গত ১৯ জানুয়ারি এক তরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও তা মাত্র দু’মাসের মধ্যেই ভঙ্গ হয়। মার্চের ১৮ তারিখ থেকে আবারও পূর্ণমাত্রায় সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এই আক্রমণেও প্রাণহানি আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে গাজায় অভিযান বন্ধ করার জন্য বহুবার আহ্বান জানিয়েছে। ইতিমধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’ অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)-এ মামলা করা হয়েছে। তবে নেতানিয়াহু স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, হামাসকে সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর ও দুর্বল না করা পর্যন্ত এবং সব জিম্মি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান বন্ধ হবে না। তথ্যসূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনেই নিহত ৮৯, মৃত্যু ছাড়াল ৫৯ হাজার

আপডেট সময় : ১১:৩৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ যেন থামছেই না। প্রতিদিনই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা, আর গভীর হচ্ছে মানবিক সংকট। শুক্রবার আবারও ভয়াবহ হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮৯ জন ফিলিস্তিনি, যা এই যুদ্ধের ভয়াবহতা ও অব্যাহত ধ্বংসযজ্ঞকে সামনে নিয়ে এসেছে।

গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা নিয়ন্ত্রিত হামাস ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে একটি অতর্কিত হামলা চালায়। ওই হামলায় ১,২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকেই প্রতিশোধ নিতে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

শুক্রবার ( ২৫ জুলাই) দিনভর গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর লাগাতার হামলায় অন্তত ৮৯ জন নিহত এবং ৪৬৭ জন আহত হয়েছেন। সন্ধ্যার পর গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এই নতুন হতাহতের সংখ্যা যুক্ত হওয়ার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় মোট প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজার ৬৭৬ জনে, এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯৬৫ জন ফিলিস্তিনি।

গত ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফার সামরিক অভিযানে গত আড়াই মাসে আরও ৮ হাজার ৫২৭ জন নিহত এবং প্রায় ৩১ হাজার ৯৩৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। ইসরায়েলের দাবি, এই অভিযান মূলত জিম্মি উদ্ধার ও হামাসকে সামরিকভাবে নিঃশেষ করার লক্ষ্যেই চালানো হচ্ছে। বর্তমানে ধারণা করা হচ্ছে, হামাসের হাতে আটক থাকা ২৫১ জন জিম্মির মধ্যে অন্তত ৩৫ জন এখনও জীবিত আছেন।

আন্তর্জাতিক চাপে ইসরায়েল গত ১৯ জানুয়ারি এক তরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও তা মাত্র দু’মাসের মধ্যেই ভঙ্গ হয়। মার্চের ১৮ তারিখ থেকে আবারও পূর্ণমাত্রায় সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এই আক্রমণেও প্রাণহানি আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে গাজায় অভিযান বন্ধ করার জন্য বহুবার আহ্বান জানিয়েছে। ইতিমধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’ অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)-এ মামলা করা হয়েছে। তবে নেতানিয়াহু স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, হামাসকে সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর ও দুর্বল না করা পর্যন্ত এবং সব জিম্মি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান বন্ধ হবে না। তথ্যসূত্র : আনাদোলু এজেন্সি