নির্বাচনের জন্য বহু নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন তাই ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছি

- আপডেট সময় : ১১:৫৪:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫ ২৮ বার পঠিত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমরা সরকারের কাছে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছি। এই নির্বাচনের জন্য আমাদের বহু নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন, গুম হয়েছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এটি মানুষের রাজনৈতিক অধিকার। আমরা এর মাধ্যমে এমন একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেই সরকার মানুষের রাজনৈতিক কল্যাণে কাজ করবে।
যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় গত রবিবার পশ্চিম লন্ডনের একটি পাঁচতারা হোটেলে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৫-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বহির্বিশ্বে যাঁরা দেশকে রিপ্রেজেন্ট করবেন তাঁদের দায়-দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘দেশের সব বিভাগে একটি করে ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রয়োজনে খেলোয়াড় তৈরি করতে সিলেবাসে পরিবর্তন আনা হবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশের চারটি বিভাগে বিকেএসপি রয়েছে। আমরা সরকার গঠন করলে প্রথমে সব বিভাগে একটি করে বিকেএসপি করব, যাতে ভালোমানের খেলোয়াড় তৈরি হয়। আর যাঁরা খেলাধুলার মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করবেন তাঁদের দায়-দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ঢাকা শহরে ওয়ার্ডভিত্তিক খেলার মাঠ গঠন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারি। অন্তত দুটি ওয়ার্ডের মাঝখানে যদি তিন থেকে চার বিঘা জমি বের করা যায় সেখানে মাঠ করা হবে।
বাচ্চারা খেলবে, মুরুব্বিরা হাঁটবেন। অর্থাৎ মানুষ সেখানে বুক ভরে শ্বাস নিতে পারবে। ঠিক এমন একটি চিন্তা আমাদের আছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা স্কুলের সিলেবাস ঢেলে সাজাতে চাই। সেখানে খেলাধুলা ও দ্বিতীয় বা তৃতীয় ভাষা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এর জন্য পরীক্ষায় আলাদাভাবে নম্বর থাকবে। তার মানে খেলাধুলা তাকে করতেই হবে। আমরা এটা অন্তর্ভুক্ত করে দেব।’
খেলাধুলার মানোন্নয়নে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে যাঁরা দেশকে রিপ্রেজেন্ট করবেন তাঁদের সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব রাষ্ট্র বহন করবে। খেলোয়াড় তৈরির জন্য ভবিষ্যতে দেশে বিকেএসপির সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে।’
সবার প্রতি আহবান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা আজ একটি জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি। সকলে মিলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশটাকে গড়তে হবে। আমাদের মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে মতপ্রার্থক্য থাকতেই পারে। গণতন্ত্রে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দেশকে আন্তর্জাতিকভালে এগিয়ে নেওয়া, দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।’
ছোট ভাই প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোকে স্মরণ করতে গিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘বড় ভাই হিসেবে ছোট ভাইকে নিয়ে গর্ব করার জন্য যা যা থাকা দরকার কোকোর মধ্যে তার সবই উপস্থিত ছিল।’
আরাফাত রহমান কোকো মেমোরিয়াল ট্রাস্টের শরফরাজ আহেমদ শরফুর পরিচালনায় ও আবু নাসের শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীর, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক প্রমুখ।