ঢাকা ০৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলকে রুখতে ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের

এই দেশ এই সময় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:২৬:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৫ বার পঠিত

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি একটি ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল রবিবার তিনি বলেছেন, গাজা ও কাতারে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি কর্মকাণ্ড একটি যৌথ প্রতিক্রিয়ার দাবি রাখে।

সুদানি বলেন, দোহায় মঙ্গলবার বিমান হামলায় পাঁচজন হামাস সদস্য ও একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। এটি ছিল আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং এটি স্মরণ করিয়ে দেয়, ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে।

তিনি কাতারের আলজাজিরা চ্যানেলকে বলেন, মুসলিম দেশগুলো কেন নিজেদের রক্ষার জন্য একটি যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করতে পারবে না, তার কোনো কারণ নেই। একই সঙ্গে আরব ও ইসলামী দেশগুলোকে একটি সর্বাত্মক রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

দোহায় গতকাল রবিবার আরব ও ইসলামী দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একটি জরুরি বৈঠকের প্রস্তুতির জন্য সমবেত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তার এই মন্তব্য আসে। এ বৈঠক আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হবে এবং কাতারে ইসরায়েলের হামলার পরিণতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীভূত হবে।

এই বৈঠকে বহু বছর আগে মিসর কর্তৃক উত্থাপিত একটি যৌথ আরব সামরিক বাহিনী সক্রিয় করার বিষয়টিও আলোচিত হওয়ার আশা করা হচ্ছে।

ইরাকি প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ইসলামী বিশ্বে ‘অসংখ্য হাতিয়ার’ রয়েছে, যা ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। তিনি সতর্ক করে দেন, ইসরায়েলের ‘আগ্রাসন কাতারে থামবে না।’ তিনি গাজায় প্রায় দুই বছর ধরে চলা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের কথাও উল্লেখ করেন।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলকে রুখতে ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের

আপডেট সময় : ১২:২৬:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি একটি ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল রবিবার তিনি বলেছেন, গাজা ও কাতারে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি কর্মকাণ্ড একটি যৌথ প্রতিক্রিয়ার দাবি রাখে।

সুদানি বলেন, দোহায় মঙ্গলবার বিমান হামলায় পাঁচজন হামাস সদস্য ও একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। এটি ছিল আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং এটি স্মরণ করিয়ে দেয়, ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে।

তিনি কাতারের আলজাজিরা চ্যানেলকে বলেন, মুসলিম দেশগুলো কেন নিজেদের রক্ষার জন্য একটি যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করতে পারবে না, তার কোনো কারণ নেই। একই সঙ্গে আরব ও ইসলামী দেশগুলোকে একটি সর্বাত্মক রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

দোহায় গতকাল রবিবার আরব ও ইসলামী দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একটি জরুরি বৈঠকের প্রস্তুতির জন্য সমবেত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তার এই মন্তব্য আসে। এ বৈঠক আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হবে এবং কাতারে ইসরায়েলের হামলার পরিণতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীভূত হবে।

এই বৈঠকে বহু বছর আগে মিসর কর্তৃক উত্থাপিত একটি যৌথ আরব সামরিক বাহিনী সক্রিয় করার বিষয়টিও আলোচিত হওয়ার আশা করা হচ্ছে।

ইরাকি প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ইসলামী বিশ্বে ‘অসংখ্য হাতিয়ার’ রয়েছে, যা ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। তিনি সতর্ক করে দেন, ইসরায়েলের ‘আগ্রাসন কাতারে থামবে না।’ তিনি গাজায় প্রায় দুই বছর ধরে চলা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের কথাও উল্লেখ করেন।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি