অবশেষে ৪১ বছর পর দেশে ফিরলেন জর্জ আবদুল্লাহ

- আপডেট সময় : ১২:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫ ২০ বার পঠিত

ফরাসি কারাগারে ৪১ বছর কাটানোর পর লেবাননের রাজনৈতিক কর্মী জর্জ আবদুল্লাহ অবশেষে দেশে ফিরেছেন। শুক্রবার (২৫ জুলাই) তিনি বৈরুতে পৌঁছান। আশির দশকে প্যারিসে একজন ইসরায়েলি ও একজন মার্কিন কূটনীতিককে হত্যার ঘটনায় এবং অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা (এনএনএ) জানিয়েছে, ৭৪ বছর বয়সী এই ফিলিস্তিনপন্থী কর্মী এয়ার ফ্রান্সের একটি বিমানে করে বৈরুতের রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
বিমানবন্দরের প্রবেশপথে এবং বিশিষ্ট অতিথিদের জন্য সংরক্ষিত লাউঞ্জের কাছে কয়েক ডজন সমর্থক আবদুল্লাহকে স্বাগত জানাতে সমবেত হন। উদযাপনসূচক স্লোগান ও করতালির মধ্যে দিয়ে তাকে আগমনী এলাকা পার করানো হয়।
বৈরুতে পৌঁছে সাংবাদিকদের উদ্দেশে আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা প্রতিরোধের শহীদদের চিরকাল সম্মান জানাব। তারাই মুক্তির যেকোনো ধারণার ভিত্তি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যতদিন প্রতিরোধ থাকবে, ততদিন প্রত্যাবর্তনও থাকবে। আর সেই প্রত্যাবর্তন শক্তিশালী, যা শহীদদের দ্বারা সমর্থিত, যারা প্রতিরোধের এক রক্তস্রোত তৈরি করেছেন।’
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে জর্জ আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ১৯৮৭ সালে একটি ফরাসি আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। তার বিরুদ্ধে ১৯৮২ সালে প্যারিসে মার্কিন সামরিক অ্যাটাশে চার্লস রে এবং ইসরায়েলি কূটনীতিক ইয়াকভ বারসিমান্তভকে গুপ্তহত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এ ছাড়া, নথি জালিয়াতি এবং অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগেও তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।
লেবানন সরকারের পক্ষ থেকে তার মুক্তির জন্য বারবার অনুরোধ জানানো হয়েছিল এবং ২০১৩ সালে একটি ফরাসি আদালত তাকে প্যারোলে মুক্তি দিলেও রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তিতে, তার মুক্তি স্থগিত ছিল।
লেবাননের বামপন্থী ও প্রতিরোধপন্থী গোষ্ঠীগুলো তার প্রত্যাবর্তনকে পশ্চিমা চাপের মুখে দৃঢ়তা ও সহনশীলতার প্রতীক হিসেবে আখ্যা দিয়ে স্বাগত জানিয়েছে।
আবদুল্লাহর সমর্থকরা তাকে একজন রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে বিবেচনা করলেও, সমালোচকরা তার বিষয়টিকে বরাবরই আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে থাকেন।দ্দেশ্য শুধুমাত্র সংবাদ পরিবেশন থাকে এবং কোনো নির্দিষ্ট পক্ষকে সমর্থন করা না বোঝায়।
প্রশংসা বর্জন: প্রতিবেদনটি জর্জ আবদুল্লাহর কোনো প্রশংসা বা তাঁর কাজের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে না। এটি একটি বিতর্কিত ব্যক্তিত্বের প্রত্যাবর্তন এবং সেই ঘটনাকে ঘিরে সৃষ্ট মিশ্র প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেছে, যা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পরিচায়ক। এই পদক্ষেপগুলো ফেসবুকের নীতিমালা লঙ্ঘনের ঝুঁকি হ্রাস করবে।