ঢাকা ০৭:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জেনে নিন শাড়ির জন্ম হল কীভাবে?

এই দেশ এই সময় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০১:৫৯:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৯ বার পঠিত

শাড়ি হল প্রাচীনতম ভারতীয় পোশাকের মধ্যে একটি। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম সহস্রাব্দে ভারতীয় উপমহাদেশে তুলোর চাষ শুরু হওয়ায় বুননশিল্পীরা সুতো বুনে শাড়ি তৈরি শুরু করেন। এরপর নানা রঙের রঞ্জকের ব্যবহার শাড়িকে রঙিন ও আকর্ষণীয় করেছে।

শাড়ির নাম এসেছে ‘সাত্তিকা’ থেকে, যা মহিলাদের পরিধেয় থ্রি-পিস পোশাক বোঝাতো। এর মধ্যে অন্তর্য (নিচের কাপড়), উত্তরীয় (ঘোমটা) ও স্তনপাট্টা (বুকের অংশ) অন্তর্ভুক্ত ছিল। সংস্কৃত ও বৌদ্ধ পালি সাহিত্যেও এর উল্লেখ পাওয়া যায়।

যতই নিত্যনতুন পোশাক আসুক না কেন, শাড়ির বিকল্প হয় না! এটা হলফ করেই বলা যায়! এই ১১ হাত কাপড়েই লুকিয়ে তামাম আভিজাত্য, ঐতিহ্য থেকে স্মার্টনেস! শাড়ির প্রচলন হাজার হাজার বছর আগেই। এমনকী সিন্ধু সভ্যতার সময়েও শাড়ির উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে।

মহিলারা বর্তমানে বিভিন্ন আঞ্চলিক হ্যান্ডলুম শাড়ি ব্যবহার করেন, যেমন সিল্ক, কটন, ইক্কত, ব্লক প্রিন্ট, এমব্রয়ডারি ও টাই-ডাই। জনপ্রিয় সিল্কের মধ্যে রয়েছে ব্রোকেড সিল্ক, বেনারসি, কাঞ্চিপুরম, গাদোয়াল, পৈঠানি, মহীশূর সিল্ক, উপ্পাড়া, ভাগলপুরি, বালুচরী, মহেশ্বরী, চান্দেরি, মেখলা, ঘিচা ও নারায়ণপেট।

বিদেশি আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ধনী ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে সোনার সুতো ও মূল্যবান পাথরের ব্যবহার শুরু হয়। ব্রিটিশদের আগমনের পরে সিন্থেটিক রঙের প্রচলন এবং বিভিন্ন ডায়িং ও প্রিন্টিংয়ের নতুন পদ্ধতি শাড়িকে আরও বৈচিত্র্যময় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারতীয় শাড়ি আজও তার সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য ধরে রেখেছে, যা নারীর সাজে অনন্যতা ও মার্জিততা যোগ করে।

শাড়িতে ভারী কাজ থাকলে অবশ্যই হালকা মেকাপ করুন। তবে এ ক্ষেত্রে আঁচলে কেবল ভারী কারুকাজ থাকলে ভারী মেকাপ করে নিতে পারেন।হালকা কাজের শাড়ির সঙ্গে যদি বেশি ফোকাস চান, তবে ভারী মেকআপ করে দেখতে পারেন। চুলের ক্ষেত্রে শীতকালে অনেকেই আয়রন করে ছেড়ে রাখতে পছন্দ করেন।

এছাড়া চাইলে খোঁপা বা ব্রেইড করে নিতে পারেন, সঙ্গে তাজা ফুলের সুগন্ধ যোগ করলে পুরো লুক আরও রিফ্রেশ ও প্রাণবন্ত দেখাবে। শাড়ি পরার সময় একটু হাই হিল পরতে পারেন, তবে অনেকেই স্লিপার বা ফ্ল্যাটসেও শাড়ির সঙ্গে সুন্দরভাবে মানিয়ে নিতে পারেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জেনে নিন শাড়ির জন্ম হল কীভাবে?

আপডেট সময় : ০১:৫৯:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শাড়ি হল প্রাচীনতম ভারতীয় পোশাকের মধ্যে একটি। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম সহস্রাব্দে ভারতীয় উপমহাদেশে তুলোর চাষ শুরু হওয়ায় বুননশিল্পীরা সুতো বুনে শাড়ি তৈরি শুরু করেন। এরপর নানা রঙের রঞ্জকের ব্যবহার শাড়িকে রঙিন ও আকর্ষণীয় করেছে।

শাড়ির নাম এসেছে ‘সাত্তিকা’ থেকে, যা মহিলাদের পরিধেয় থ্রি-পিস পোশাক বোঝাতো। এর মধ্যে অন্তর্য (নিচের কাপড়), উত্তরীয় (ঘোমটা) ও স্তনপাট্টা (বুকের অংশ) অন্তর্ভুক্ত ছিল। সংস্কৃত ও বৌদ্ধ পালি সাহিত্যেও এর উল্লেখ পাওয়া যায়।

যতই নিত্যনতুন পোশাক আসুক না কেন, শাড়ির বিকল্প হয় না! এটা হলফ করেই বলা যায়! এই ১১ হাত কাপড়েই লুকিয়ে তামাম আভিজাত্য, ঐতিহ্য থেকে স্মার্টনেস! শাড়ির প্রচলন হাজার হাজার বছর আগেই। এমনকী সিন্ধু সভ্যতার সময়েও শাড়ির উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে।

মহিলারা বর্তমানে বিভিন্ন আঞ্চলিক হ্যান্ডলুম শাড়ি ব্যবহার করেন, যেমন সিল্ক, কটন, ইক্কত, ব্লক প্রিন্ট, এমব্রয়ডারি ও টাই-ডাই। জনপ্রিয় সিল্কের মধ্যে রয়েছে ব্রোকেড সিল্ক, বেনারসি, কাঞ্চিপুরম, গাদোয়াল, পৈঠানি, মহীশূর সিল্ক, উপ্পাড়া, ভাগলপুরি, বালুচরী, মহেশ্বরী, চান্দেরি, মেখলা, ঘিচা ও নারায়ণপেট।

বিদেশি আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ধনী ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে সোনার সুতো ও মূল্যবান পাথরের ব্যবহার শুরু হয়। ব্রিটিশদের আগমনের পরে সিন্থেটিক রঙের প্রচলন এবং বিভিন্ন ডায়িং ও প্রিন্টিংয়ের নতুন পদ্ধতি শাড়িকে আরও বৈচিত্র্যময় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারতীয় শাড়ি আজও তার সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য ধরে রেখেছে, যা নারীর সাজে অনন্যতা ও মার্জিততা যোগ করে।

শাড়িতে ভারী কাজ থাকলে অবশ্যই হালকা মেকাপ করুন। তবে এ ক্ষেত্রে আঁচলে কেবল ভারী কারুকাজ থাকলে ভারী মেকাপ করে নিতে পারেন।হালকা কাজের শাড়ির সঙ্গে যদি বেশি ফোকাস চান, তবে ভারী মেকআপ করে দেখতে পারেন। চুলের ক্ষেত্রে শীতকালে অনেকেই আয়রন করে ছেড়ে রাখতে পছন্দ করেন।

এছাড়া চাইলে খোঁপা বা ব্রেইড করে নিতে পারেন, সঙ্গে তাজা ফুলের সুগন্ধ যোগ করলে পুরো লুক আরও রিফ্রেশ ও প্রাণবন্ত দেখাবে। শাড়ি পরার সময় একটু হাই হিল পরতে পারেন, তবে অনেকেই স্লিপার বা ফ্ল্যাটসেও শাড়ির সঙ্গে সুন্দরভাবে মানিয়ে নিতে পারেন।